গত ১১জানুয়ারি ২০২২খ্রি: ২৭শে পৌষ ১৪২৮বঙ্গাব্দ রোজ মঙ্গলবার সিআইপিডি’র নিজস্ব ভবনে ধনঞ্জয় হল ও ভাষা (চাকমা, মারমা, ককবরক, ইংরেজী) শিক্ষা কোর্স -২০২২ উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়। এই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিআইপিডি উপদেষ্টা, শিক্ষাবিদ ও সাবেক মানবাধিকার কমিশন সদস্য নিরূপা দেওয়ান, তিন পার্বত্য জেলা সমূহের স্বনামধন্য লেখক, ভাষা গবেষক, শিক্ষাবিদ, প্রশিক্ষণাী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সভাপতিত্ব করেন সিআইপিডি চেয়ারপার্সন শিক্ষাবিদ প্রফেসর (অবঃ)মংসানু চৌধূরী।
এই অনুষ্ঠানের ১ম পর্বের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের পর সিআইপিডি’র পরলোকগত সদস্যদের প্রতি ১ মিনিট নিরবতা পালন করার পর স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক যশেশ্বর চাকমা এবং ভাষা শিক্ষা কোর্সের বিষয় ও ভেদ ভাচ আলাম প্রকাশনা নিয়ে আলোচনা করেন সিআইপিডি নির্বাহী পরিচালক জনলাল চাকমা ও কোর্স পরিচালক শান্তি চাকমা। এই পর্বে সর্বশেষে ১৫জন শিক্ষার্থীকে সনদ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে চাকমা ভাষায় বর্ণমালা, উচ্চারণ ও বানান রীতি বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন আর্য্যমিত্র চাকমা-শিক্ষক, মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা-নির্বাহী পরিচালক, জাবারাং, আনন্দ মোহন চাকমা- গবেষক ও এনসিবি সদস্য, মৃত্তিকা চাকমা-অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, আনন্দ জ্যোতি চাকমা- শিক্ষক, পরেশ চাকমা ও ভাষা গবেষক আনন্দ মোহন চাকমা ও উন্নয়নকর্মী ইনজেব চাকমা প্রমুখ। এই আলোচনায় চাকমা ভাষা লিপি, উচ্চারণ, বানানরীতি ধ্বনি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষ করে ১১টি বর্ণের উপর মাজ্যা ব্যবহার, বানানরীতি ও উচ্চারণের উপর গভীরভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়। পরিশেষে চাকমা (চাঙমা) ভাষার উচ্চারণ, বানান রীতি ও ভাষা বিকৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ, ভাষা শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা, ভাষা গবেষক/ভাষাবিদ (পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে)-দের যৌথ সমন্বয়ে ভাষা গবেষণা, উচ্চারণ ও বানান রীতি নির্ধারণ বোর্ড গঠন করা, ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, অপসংস্কৃতিকে রোধ এবং মূলধারার সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য একযোগে কাজ করা ও এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তর তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত)ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী(আদিবাসী)দের মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিতকল্পে জেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় সাধনপূর্বক শিক্ষা অফিসার,সহকারি শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক/অভিভাবকদের স্কুল পর্যায়ে অগ্রনী ভূমিকা পালনের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।