সিআইপিডি-র নিজস্ব অফিস ভবন উদ্বোধন

গত ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ, শনিবার, রাঙ্গামাটি শহরের টিটিসি সড়কে সিআইপিডি-র নিজস্ব জমিতে নিজস্ব প্রধান কার্যালয় ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। ফিটা কেটে এটি উদ্বোধন করেন মিসেস শীলা দেওয়ান, সংস্থার একজন উপদেষ্টা ও সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি। এটি উদ্বোধন করার কথা ছিল সংস্থার উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য মিজ নিরুপা দেওয়ানের। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামে যেতে বাধ্য হলে তাঁর অনুপস্থিতিতে মিসেস শীলা দেওয়ান এ দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি প্রফেসর মংসানু চৌধুরী।

সিআইপিডি ১৯৯৮ সনের ১০ অক্টোবর তার যাত্রা শুরু করে। তার ঊণবিংশতি বয়সে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মানাধীন ভবনের উদ্বোধন করে ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংস্থার ঊণবিংশতিতম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ, শনিবার। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে বলে নিজস্ব ভবন তৈরী করতে এত বিলম্ব হয়েছে, যেহেতু পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উন্নয়ন বান্ধব নয়। তাই, পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক একটি ছোট্ট উন্নয়ন সংস্থার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এ অজর্ন সম্ভব হয়েছে মূলতঃ নেতৃত্বের সততা ও লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় মানসিকতার কারণে। বিগত ১৯ বৎসরে নেতৃত্বের কোন ধরণের সংকট সৃষ্টি হয়নি এবং এটি জনআস্থা, উন্নয়ন সহযোগী ও সরকারী আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছে, দুর্ণীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ার কারণেই। ভবনের নির্মাণাধীন ৩য় তলাটি ২০১৮ সনের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রধান কার্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে সাধারণ সভায় সিআইপিডি-র অগ্রগতিতে নেতৃত্বের যোগ্যতা ও সততার প্রশংসা করতে গিয়ে বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিআরডিবি) এর প্রাক্তন জেলা কর্মকর্তা ও সংস্থার অর্থ সম্পাদক মিজ এঞ্জেলা দেওয়ান বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় এনজিওদের মধ্যে একমাত্র সিআইপিডি-ই নিজস্ব জমিতে নিজস্ব ভবন তৈরী করতে পেরেছে। আমাদের ভবনটি বিশাল হতে না পারে; আজ কিন্তু এ ভবনটির শুভ উদ্বোধন করে ভবনের সম্মেলন কক্ষে আমরা সাধারণ সম্মেলন করছি, এর চাইতে আনন্দ কি হতে পারে।”

এ ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে সংস্থার সভাপতি প্রফেসর মংসানু চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন,“সংস্থার নিজস্ব ভবনে এজিএম করতে পারাটা বড় একটা প্রাপ্তি ও গর্বের বিষয়; যেখানে পাার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি উত্তর সময়ে অনেক এনজিও নিজেদের অস্তিত্বই ধরে রাখতে সমর্থ হয়নি।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের সংস্থাটি তার নীতি নৈতিকতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে পারলে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হবে।” নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রকল্প কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল কর্মী ও কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “সিআইপিডি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমি আশা করি এই সংগঠন একদিন অনেক বড় সংগঠনে পরিণত হবে।”

প্রতিবেদকঃ কর্ণিয়া চাকমা।