ক্যাচিংহ্লা মারমার পড়াশুনার খরচের দায়িত্ব নিল সিআইপিডি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া পিতৃহারা দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান ক্যাচিংহ্লা মারমার পড়াশুনা খরচের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছে রাঙামাটির বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিআইপিডি (সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড প্রোগ্রাম এন্ড ডেভেলপমেন্ট)।
শনিবার সকালে সিআইপিডির কার্যালয়ে ক্যাচিংহ্লা মারমার হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে একটি চেক হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ দায়িত্বভার গ্রহণ করে সিআইপিডি। এদিন ৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয় ক্যাচিংহ্লা মারমাকে। প্রতি মাসে ক্যাচিংহ্লা ৫ হাজার টাকা বৃত্তি পাবে।

এ সময় সিআইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, সিআইপিডির নির্বাহী পরিচালক জনলাল চাকমা, ক্যাচিংহ্লার নানা রিম্রাচাই মারমা উপস্থিত ছিলেন।

সিআইপিডির বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বৃত্তি ফান্ড থেকে এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ ফান্ড থেকে পাহাড়ের দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ১৬ জনকে বৃত্তি দিচ্ছে সংস্থাটি।

সিআইপিডির নির্বাহী পরিচালক জনলাল চাকমা বলেন, ক্যাচিংহ্লার আর পড়াশোনার খরচের চিন্তা করতে হবে না।  সিআইপিডি ক্যাচিংহ্লার স্নাতোকত্তর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫ হাজার করে টাকা দেবে। ব্যাংক হিসাবে এ টাকা প্রদান করা হবে।  পড়াশুনাকালীন রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যক্রম করতে পারবে না ক্যাচিংহ্লা।

এ ছাড়া ক্যাচিংহ্লা পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হলে এ টাকা তিনি সিআইপিডিকে পরিশোধ করবেন।  এ টাকা দিয়ে নতুন আরেক দরিদ্র মেধাবী শিক্ষাথীকে বৃত্তি দেয়া হবে। তবে বেকার হলে পরিশোধ করতে হবে না।

চেক পেয়ে ক্যাচিংহ্লা বলেন, আমি খুব খুশি। আমার পড়াশুনার নিশ্চয়তা  নিল সিআইপিডি। আমি এ টাকা আমার পড়াশুনার কাজে ব্যয় করব। আমি পড়াশুনা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করব।

প্রসঙ্গত, ক্যাচিংহ্লা মারমা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ডাক বাংলা এলাকার আনি মারমা পাড়ার মৃত হ্লাথোয়াই মারমার ছেলে। ছোট থেকে মেধাবী ছিল ক্যাচিংহ্লা। স্থানীয় কদমতলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়। পরে ২০২২ সালে খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ থেকে ৪.৫০ পয়েন্ট পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োজলজিতে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু দরিদ্ররতার কারণে তার পড়াশুনা অনিশ্চয়তার মধ্য পড়ে।

এ নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সিআইপিডির নজরে আসলে সরেজমিন পরিদর্শন করে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সিআইপিডি।